সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাতাপিতার খিদমত

খিদমতের অর্থ সেবা করা, শুশ্রূষা করা, যত্ন নেয়া। মাতাপিতার খিদমত বলতে বোঝায় তাঁদের    কষ্ট    লাঘব করা, কাজ কর্মে    সহযোগিতা করা,  হাসিমুখে তাঁদের     সেবায় আত্মনিয়োগ করা, সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি তার সামনে পেশ করা, তাঁদের জন্য খরচ করতে কার্পণ্য না করা।তাঁদের সামনে বিনয়ের বাহু অবনমিত করা
। সকলের পক্ষ থেকে থেকে মাতা-পিতার খিদমত একরকম নয়। আট বা দশ বছরের ছেলে-মেয়েরা   মাতা-পিতার খিদমত করতে পারে বিনা    কষ্টই।  পড়াশোনা বাদ   দিয়ে মাতা-পিতার সাথে   লেগে থাকতে হবে এমনটি নয়। বাবা অফিসে যাবেন। তার জোতা জোড়া পরিষ্কার করে দেয়, মোজা জোড়া এগিয়ে দেয়া, জোতা জোড়া সামনে পেপ করা এগুলো কোনো কষ্টের কাজ নয়। মা রান্না করছেন। পড়ার ফাকে বা অবসর সময়  মাকে লবণ,পানি  ও  এ   জাতীয় প্রয়োজনীয় বস্তু এগিয়ে দেয়া। খাবারের সময় গ্লাসে পানি ঢেলে দেয়া।এ   কাজ যে কেউ করতে পারে। এতে পড়াশোনারও কোনো ক্ষতি হয় না।  কিনতকিন্তু মাতা-পিতা খুশি হন এটাই খিদমত।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়ের গুহায় আটকে পড়া তিন যুবকের গল্প

আবদুল্লার  ইবনে উমার  (রা.) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : তোমাদের পূর্বকালের তিনজন লোক কোথাও চলার পথে রাত কাটাবার উদ্দেশে এক পর্বত গুহায় আশ্রয় নিল। তারা সেখানে প্রবেশ করার পর একখানা পাথর খসে পড়ে তাঁদের গুহার মুখে বন্ধ করে দেয়।

এক মুসলমানের উপর আরেক মুসলমানের ছয়টি সুনির্দিষ্ট হক রয়েছে

হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.)   বলেন,   এক মুসলমানের উপর  আরেক মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে- 1. তুমি যখন সাক্ষাৎ করবে, তখন সালাম দিবে। 2.সে যখন তোমাকে দাওয়াত দিবে, তখন গ্রহণ করবে। 3.সে যখন তোমার কাছে পরামর্শ চাইবে, তখন পরামর্শ প্রদান করবে।

কিছু সুবর্ণ সুযোগ : আমরা সহজেই কাজে লাগাতে পারি

TA প্রশংসা আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলার। যিন আমাদেরকে ইসলামের মতো শ্রেষ্ঠ নিয়ামাহ্ দিয়ে পরকালীন মুক্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদে নিরেট বিশ্বাস, পবিত্রতার সাথে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, সম্পদের যাকাত, রমাদানের সিয়াম, আর হজ্জের মৌসুমে আল্লাহর ঘর তাওয়াফ আমাদেরকে পরকালীন মুক্তির আশ্বাসই দেয়। তবে আমাদের মানবসুলভ বৈশিষ্টের কারণে আমরা কখনো ছোট থেকে বড় রকমের অনেক অন্যায় করে থাকি, কখনো ভুলে যাই আল্লাহর মনোনীত সরল-সঠিক পথটি, আবার কখনো স্বেচ্ছায় মেনে নেই শয়তানের দাসত্ব। আর এতসব অন্যায় ও ভুলকে দূরে ঠেলে সরল-সঠিক পথটি ফিরে পেতে আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলা আমাদের জন্য রেখেছেন অসংখ্য সহজ সুযোগ। এছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে একজন বিশ্বাসীর সম্মান-মর্যাদা বাড়িয়ে নিতেও রেখেছেন কিছু সুবর্ণ সুযোগ।  তাই ইসলামের অপরিহার্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি এইসব সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সুযোগগুলো সামনে নিয়ে আসার জন্যই এই লিখা। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ ঠিক প্রবাহিত নদীর ন্যায়, যা তোমাদের...