সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবাহানওয়া তাআ’লার । যিনি এক ও অদ্বীতিয় এবং সমস্ত জাহানের মালিক ও একচ্ছিত্র ক্ষমতার অধিকারী । তিনি মহান আল্লাহ তাআ’লা যিনি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদাত করার জন্য । কিন্তু মানুষ জাতি যখনই তার সৃষ্টিকর্তার এই মহান উদ্দেশ্য ভুলে যেতে শুরু করে, ঠিক তখনই একজন হিদায়াত প্রাপ্ত নবী/রাসূলের আঘমন ঘটে । আর এই ধারাবাহিকতা হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে শেষ হয় । তাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো এক ও অভিন্ন । আর তা হলো- একমাত্র মহান রব এর সন্তুষ্টি অর্জন । আমাদের রাসূল মুহাম্মদ (সা.) যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন পৃথিবীতে চলছিল- জুলুম-অত্যাচার, অশ্লীলতা-বর্বরতা, হত্যা- আহজারির এক জাহেলী পরিবেশ । এর মধ্যেই আবির্ভাব হন সত্যের এক জ্যোতির্ময় । যিনি সেই আরবের কুসংস্কারকে সংস্কার করে জ্বালিয়ে দেন সত্যের আলোকবর্তিকা । আর সেই আলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত ধরণীতে । সৃষ্টি হয় এক আল্লাহর ইবাদতের রাজত্ব । বিলুপ্ত হয় বহু মিথ্যা প্রভুর ইবাদাত । আসুন দেখি রাসূল (সা.) এর আবির্ভাব এর পূর্বমূর্তেহ প্রচলিত ক...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

আল্লাহর উপর ভরসা

আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন, وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ “আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮] এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর উপর ভরসা করার আদেশ করেছেন। তিনি ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজেকে পেশ করবেন না। কেননা তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি পরাক্রমশালী, কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। যে ব্যক্তিই তাঁর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন- তাকে সাহায্য ও সমর্থন করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবে, সে তো এমন কিছুর উপর ভরসা করল যে মৃত্যু বরণ করবে, বিলীন ও ক্ষয় হয়ে যাবে। দুর্বলতা ও অপারগতা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। এ কারণে তার প্রতি ভরসা কারীর আবেদন বিনষ্ট হয়ে যায়, সে হয়ে যায় দিশেহারা।...

কিছু সুবর্ণ সুযোগ : আমরা সহজেই কাজে লাগাতে পারি

TA প্রশংসা আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলার। যিন আমাদেরকে ইসলামের মতো শ্রেষ্ঠ নিয়ামাহ্ দিয়ে পরকালীন মুক্তির সুযোগ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদে নিরেট বিশ্বাস, পবিত্রতার সাথে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, সম্পদের যাকাত, রমাদানের সিয়াম, আর হজ্জের মৌসুমে আল্লাহর ঘর তাওয়াফ আমাদেরকে পরকালীন মুক্তির আশ্বাসই দেয়। তবে আমাদের মানবসুলভ বৈশিষ্টের কারণে আমরা কখনো ছোট থেকে বড় রকমের অনেক অন্যায় করে থাকি, কখনো ভুলে যাই আল্লাহর মনোনীত সরল-সঠিক পথটি, আবার কখনো স্বেচ্ছায় মেনে নেই শয়তানের দাসত্ব। আর এতসব অন্যায় ও ভুলকে দূরে ঠেলে সরল-সঠিক পথটি ফিরে পেতে আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলা আমাদের জন্য রেখেছেন অসংখ্য সহজ সুযোগ। এছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে একজন বিশ্বাসীর সম্মান-মর্যাদা বাড়িয়ে নিতেও রেখেছেন কিছু সুবর্ণ সুযোগ।  তাই ইসলামের অপরিহার্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি এইসব সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ সুযোগগুলো সামনে নিয়ে আসার জন্যই এই লিখা। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ ঠিক প্রবাহিত নদীর ন্যায়, যা তোমাদের...

এক মুসলমানের উপর আরেক মুসলমানের ছয়টি সুনির্দিষ্ট হক রয়েছে

হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.)   বলেন,   এক মুসলমানের উপর  আরেক মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে- 1. তুমি যখন সাক্ষাৎ করবে, তখন সালাম দিবে। 2.সে যখন তোমাকে দাওয়াত দিবে, তখন গ্রহণ করবে। 3.সে যখন তোমার কাছে পরামর্শ চাইবে, তখন পরামর্শ প্রদান করবে।

পাহাড়ের গুহায় আটকে পড়া তিন যুবকের গল্প

আবদুল্লার  ইবনে উমার  (রা.) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : তোমাদের পূর্বকালের তিনজন লোক কোথাও চলার পথে রাত কাটাবার উদ্দেশে এক পর্বত গুহায় আশ্রয় নিল। তারা সেখানে প্রবেশ করার পর একখানা পাথর খসে পড়ে তাঁদের গুহার মুখে বন্ধ করে দেয়।

ইসলামিক ওয়েবসাইটসমূহ

বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় যেসব ওয়েবসাইট দাওয়াতি কাজে অবদান রাখছে- বাংলা : www.assiratmission.com www.Quraneralo.com www.Quransunnah.com www.waytojannah.com www.i-onlinemedia.net

মাতাপিতার খিদমত

খিদমতের অর্থ সেবা করা, শুশ্রূষা করা, যত্ন নেয়া। মাতাপিতার খিদমত বলতে বোঝায় তাঁদের    কষ্ট    লাঘব করা, কাজ কর্মে    সহযোগিতা করা,  হাসিমুখে তাঁদের     সেবায় আত্মনিয়োগ করা, সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি তার সামনে পেশ করা, তাঁদের জন্য খরচ করতে কার্পণ্য না করা।তাঁদের সামনে বিনয়ের বাহু অবনমিত করা