সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবাহানওয়া তাআ’লার । যিনি এক ও অদ্বীতিয় এবং সমস্ত জাহানের মালিক ও একচ্ছিত্র ক্ষমতার অধিকারী । তিনি মহান আল্লাহ তাআ’লা যিনি মানুষ ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদাত করার জন্য । কিন্তু মানুষ জাতি যখনই তার সৃষ্টিকর্তার এই মহান উদ্দেশ্য ভুলে যেতে শুরু করে, ঠিক তখনই একজন হিদায়াত প্রাপ্ত নবী/রাসূলের আঘমন ঘটে । আর এই ধারাবাহিকতা হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর মাধ্যমে শেষ হয় । তাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো এক ও অভিন্ন । আর তা হলো- একমাত্র মহান রব এর সন্তুষ্টি অর্জন । আমাদের রাসূল মুহাম্মদ (সা.) যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন পৃথিবীতে চলছিল- জুলুম-অত্যাচার, অশ্লীলতা-বর্বরতা, হত্যা- আহজারির এক জাহেলী পরিবেশ । এর মধ্যেই আবির্ভাব হন সত্যের এক জ্যোতির্ময় । যিনি সেই আরবের কুসংস্কারকে সংস্কার করে জ্বালিয়ে দেন সত্যের আলোকবর্তিকা । আর সেই আলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত ধরণীতে । সৃষ্টি হয় এক আল্লাহর ইবাদতের রাজত্ব । বিলুপ্ত হয় বহু মিথ্যা প্রভুর ইবাদাত । আসুন দেখি রাসূল (সা.) এর আবির্ভাব এর পূর্বমূর্তেহ প্রচলিত ক...
আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা ইসলামে একটি বিরাট বিষয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা অপরিসীম। আল্লাহর প্রতি ভরসা ছাড়া কোন বান্দাই কোন মূহুর্ত অতিবাহিত করতে পারে না। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে। কেননা এর মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের সাথে সম্পর্ক গাড় ও গভীর হয়। আল্লাহ্ বলেন, وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ “আর ভরসা কর সেই জীবিত সত্বার (আল্লাহর) উপর, যিনি কখনো মৃত্যু বরণ করবেন না।” [সূরা ফুরক্বান-৫৮] এই আয়াতে আল্লাহ্ তাআলা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে তাঁর উপর ভরসা করার আদেশ করেছেন। তিনি ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজেকে পেশ করবেন না। কেননা তিনি চিরঞ্জীব, তাঁর মৃত্যু নেই। তিনি পরাক্রমশালী, কোন কিছুই তাঁকে পরাজিত করতে পারে না। যে ব্যক্তিই তাঁর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন- তাকে সাহায্য ও সমর্থন করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো উপর ভরসা করবে, সে তো এমন কিছুর উপর ভরসা করল যে মৃত্যু বরণ করবে, বিলীন ও ক্ষয় হয়ে যাবে। দুর্বলতা ও অপারগতা তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছে। এ কারণে তার প্রতি ভরসা কারীর আবেদন বিনষ্ট হয়ে যায়, সে হয়ে যায় দিশেহারা।...